গনতান্ত্রিক অধিকার কমিটি নিয়ে দেখা দিয়েছে নানান ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া
সেই প্রতিক্রিয়া নিয়ে ” আপনার মত কী” জিজ্ঞাসায়!

সংগঠন তৈরি হতে পারবে না দেশে?
নতুন দল গঠন হইতে পারে না দেশে?

নষ্ট বাম আর আওয়ামী কে গণমানুষের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করতে দেখা গেছে, তাহলে এই গণমানুষের দোহাই দিয়ে কী এককেন্দ্রিকতার কথাই বলছে না?

গণমানুষের শত্রু কে গণ মানুষ তা বুঝে নিবে, একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অনেকের অনেক গুলো মত, দল, সংগঠন হবার প্রক্রিয়াই বরং বিউটি! এক কেন্দ্রিকরণ বড় অপকৃতি ও বিধ্বংসী। যদি তারা গণমানুষের শত্রু হয় গণমানুষ তাদের কে চুজ করবে না। প্রতিষ্ঠা করার বিষয় হচ্ছে গণ মানুষের এই চুজ করার প্রক্রিয়া টা এস্টাবলিশ করা।

আর বাদবাকি সবকিছু কয়েনের এপিঠ ওপিঠ
এরা সারাক্ষণ কুকুরের মতো লালা ঝড়ায় শাহবাগী বলে বলে, আবার শাহবাগীরা মৌলবাদি বলে বলে লালা ঝড়ায়। এরা দুইটাই একই প্রব্লেমের দুইটা আলাদা ডাইমেনশন।

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি

ওরা কেন গণশত্রু ভাবছে?

এইটা চিরাচরিত সাংগঠনিক সাংঘর্ষিকতা।

আমার কাছে এগুলো স্ব-জাতীর স্বভাবের অভাব কে বুঝতে না পারা মনে হয়। অতো বড় কোনো সংকট শাহবাগী আর হেফাজতিতে নাই। আছে একরোখামিতা যা বাজে ক্ষেত্রেই প্রবাহমান। এরা এক ফুলের মর্ম বুঝতে চায়না। বহু কে এক করে ফেলতে চায়। এক দল চায় সব তার মতোন করে হয়ে যাক। আরেক দলও সেটাই চায়। গণমানুষ এরকম চায়না। তাই গণমানুষের শত্রু, কখনই গণমানুষকে শনাক্তকরণে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়না। একটা গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে শনাক্তকরণে কাজ করেন। গণমানুষের ইনভলবনেস এরা সবসময়ই হ্রাস করে রাখে। এসবের ভিতর দিয়েই ক্যাপিটাল এর জাহাজ চলতে থাকে সংগঠনের নাম বদলে, ফেইস বদলে, সেই একই গণমানুষের ট্রাম্প বেচে।

এরকম অনেকগুলা খন্ড খন্ড ভিন্ন রাজনৈতিক সচেতনতা, রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক মত হলেই না মজা টা হবে! কেননা আধুনিক পার্লামেন্ট এর ধারনাটাই এটা। যেনো একচেটিয়ে না চলে যায়। বুদ্ধ তার সংঘেও একই প্রক্রিয়ায় ভান্তেদের মত গ্রহণ করতেন। ও সকলের আলাদা আলাদা মতামত নিয়ে পর্যালোচনার ভিত্তিতে সুষ্ঠ সংঘ পরিচালনা করতেন।

রাজনীতি করতে পারবে না কেনো?

আলবৎ পারবে। তবে এই গুলারে (গনতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য বৃন্দদের) হাড়ে হাড়ে চেনা আছে।

চেনা থাকা তো বরং নিজেদের কে আরও ধীর প্রলয় ও পরিসুস্থ করবে। তা না করে একটি আরেকটির গলা চেপে ধরার যে নিশানা তা অনৈতিহাসিক ও মানুষের জীবন বিরুদ্ধাচরণের পরিপুষ্ট।

রাজনৈতিক কাজই হচ্ছে রাজনৈতিক ভাবে তাকে উপস্থাপন করা, চেনা থাকা তো আমাদের আরও সহজ করে দেয় গণ মানুষকে রাজনৈতিক করে তোলায়। কিন্তু যেকোনো চিন্তাকেই গলা টিপে ধরার প্রক্রিয়া এককেন্দ্রিক করার প্রথম স্টেপ। সব কিছুকে প্রশ্ন করা জারি রাখার প্রক্রিয়াই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।

হাজার রকম ফুলের সমারোহেই তো গড়ে উঠে ফুলের বাগান, গনতান্ত্রিক বাগান।

শুধু মাত্র সংগঠনের বয়সকাল দিয়ে কখনো কখনো, দেশ কাল এ রাজনৈতিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের হাজির নাজির করা অসম্ভব। নতুন কমিটি, নতুন সংগঠন, নতুন দল, নতুন চিন্তা ও নতুন প্রশ্নের জন্ম দিবে। যেসবের আলোচনা পাল্টা আলোচনার ভিত্তিতে কাল মহাকালের যাত্রার দিকে এগোতে থাকবে। স্বাধীনতা ও স্বাধীকার লকড কিছুনা। এটা প্রবাহমান ও প্রতিনিয়ত গণমানুষের সাথে সম্পর্কিত হিস্যা। তাই পেয়ে যাবার ধারনা প্রসূতা দিয়া স্বাধীনতা ও স্বাধীকার ধরা যায়না।