দাবিদাওয়া নিয়ে সাথে সরকারের এপ্রোচটা কেমন হবে?
আপনারা যারা চাচ্ছেন লীগ ট্যাগ দিয়ে তাদেরকে ফিনিশ করে ফেলতে, তারা মূলত আওয়ামী লীগের পলিসিকেই এক্সেপ্ট করে নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগও শিবির ট্যাগ দিয়ে বিরোধী পক্ষ দমন করে গেছেন!
কাল আনসারদের লীগ বলে তাদেরকে শত্রু পক্ষে ফেলে দিয়েছেন, আজ রিকশাওলাদের লীগ বলে শত্রু বানাতে চাইছেন। তাদের উপর এ্যাটাকের পলিটিক্যাল বৈধতা তৈরি করছেন। এগুলো বাজে রাজনীতি, আওয়ামী লীগের শিখিয়ে দেওয়া ফ্যাসিবাদী পথ!
তাদেরকে কেন আন্দোলন করতে হচ্ছে একে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বুঝলে হবে না। একে বুঝতে হলে অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিও প্রয়োজন। আমার মনে হয় ডক্টর ইউনুসের থেকে এইটা ভালোভাবে কেউ বুঝবে না!
আনসাররা দাঁড়িয়েছে তাদের চাকরির নিশ্চয়তা এবং স্থায়ীত্ব প্রাপ্তির আশায়। রিকশাওলারা দাঁড়িয়েছে তাঁরা খ্যাপ মারতে পারে না অটোরিকশার কারণে। এই সবগুলোর পিছনে মূল সমস্যা জীবিকার অনটন!
ফলত তাদের সাথে কথা বলতে হবে তাদের ভাষায়। তাদেরকে বুঝাতে হবে যে আপনাদের জীবিকার স্থায়ী ব্যবস্থা এবং এর একটা মানবিক উন্নতি আমরা ঘটাব। আমাদের কিছু সময় দিন। তাদেরকে বুঝাতে হবে আস্থার ভাষায়। যেন তারা সরকারকে আপন মনে করে!
প্রয়োজনে এজন্য একটা কমিশন গঠন করা যেতে পারে। কোন কোন সেক্টরে কী কী সংস্কার প্রয়োজন এইটা মাঠ পর্যায়ের দাবি দাওয়াকারীদের সাথে বসবে। এবং সরকারকে যে তাদের পরামর্শ মোতাবেক বিবেচনার সহিত আগাচ্ছে এর একটা বাস্তব কার্যক্রম সরকারকে দেখিয়ে যেতে হবে!
মনে রাখতে হবে এই অভ্যুত্থান শুধু শিক্ষার্থীদের নয়। শ্রমিক জনতারও! ফলত তাদেরকে নিয়ে বাইনারির রাজনীতি আদতে বিপজ্জনক। আর শ্রমিকরা রাষ্ট্র সংস্কার বলতে কাঠামো সংস্কার বুঝবে না। তাদেরকে বুঝাতে হবে তাদের জীবন এবং জীবিকার মানে সংস্কার এনে। তাদের আন্দোলনে অংশগ্রহণের এইটা ছিল একটা বড় কারণ। এদের সাথে বেইমানি করবেন না